বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে, গতকাল তার পরিবার থেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যে অনুমতি দরকার, সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, সরকার মানবিক কারণে তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।”
কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরবর্তী জটিলতা যে অনেক সময় গুরুতর দিকে মোড় নেয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশে উন্নত হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিদেশে আরো উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব কিনা…।”
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন তাকে দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়।
এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার। বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার বুধবার রাতে ওই আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে রাতেই তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে মতামতের জন্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা আবেদন পেয়েছি। বিদেশে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।”
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা জানেন যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৭ তারিখ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিতসাধীন। তাকে সেখানে সর্বপ্রকার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের চিকিৎসকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার যে, তারা তাদের নেতাকে সুস্থ দেখতে চায়।”
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম